বৃহস্পতিবার, ০২ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:৫৫ অপরাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

কুফরের প্রকারগুলো

মাহমুদ হাসান ফাহিম:
কুফর শব্দের অর্থ অস্বীকার করা। কুফর শব্দটি ইমান শব্দের বিপরীত। বিভিন্ন কারণে মানুষ কাফের হয়, তার মধ্যে কেউ ইমানের ছয় রুকনের কোনো একটি অস্বীকার করলে নিঃসন্দেহে কাফের হয়ে যায়। এ ছাড়া ইসলামের রুকনগুলো যদি কেউ অস্বীকার করে তাহলে সেও কাফের হয়ে যায়। অনুরূপভাবে যেসব বিষয় দ্বীনের বিধিবিধান হিসাবে সাব্যস্ত, এমন কোনো বিধান অস্বীকার করলেও কাফের হয়ে যায়।

কোরআনের আয়াত ও হাদিস বিশ্লেষণ করলে কুফরকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। বড় কুফর ও ছোট কুফর। বড় কুফর পাঁচ প্রকার। যথা : এক. রাসুলরা যা কিছু নিয়ে এসেছেন, তা প্রকাশ্যে কিংবা অপ্রকাশ্যে মিথ্যা সাব্যস্ত করা। ইরশাদ হয়েছে, ‘তার চেয়ে বড় জালেম আর কে হতে পারে, যে আল্লাহর প্রতি মিথ্যারোপ করে কিংবা যখন তার কাছে সত্য বাণী পৌঁছে তখন তা প্রত্যাখ্যান করে? (এরূপ) কাফেরদের ঠিকানা কি জাহান্নামে নয়?’

(সুরা আনকাবুত : ৬৮)

দুই. অস্বীকার ও অহংকারের মাধ্যমে কুফর। রাসুলরা আল্লাহর পক্ষ থেকে যে বিধান বর্ণনা করেছেন, তা সত্য জানার পরও অহংকার ও হিংসাবশত সে বিধান না মানা এবং তার নির্দেশের উপেক্ষা করা। যেমন ইবলিস করেছিল। ইরশাদ হয়েছে, ‘যখন আমি ফেরেশতাদের বললাম, আদমকে সিজদা করো, তারা সবাই সিজদা করল, কিন্তু ইবলিস অস্বীকার করল এবং অহংকার করে কাফেরদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেল।’ (সুরা বাকারা : ৩৪)

তিন. সংশয়-সন্দেহের কুফর। রাসুলদের সত্যতা এবং তারা যা নিয়ে এসেছেন সে সম্পর্কে ইতস্তত করা এবং দৃঢ় বিশ্বাস না রাখা। এটাকে ধারণা সম্পর্কিত কুফরও বলা হয়। ইরশাদ হয়েছে, ‘আর সে নিজের ওপর জুলুম (কুফরি) করে বাগানে প্রবেশ করল। বলল, আমি মনে করি না এ বাগান কখনো ধ্বংস হবে। আমি মনে করি না যে, কিয়ামত হবে। আর আমাকে যদি রবের কাছে ফিরিয়ে নেওয়া হয়, তবে নিশ্চয় এর চেয়ে উৎকৃষ্ট পাব।’ (সুরা কাহাফ : ৩৫-৩৬)

চার. বিমুখ থাকার মাধ্যমে কুফর। দ্বীন থেকে পরিপূর্ণ বিমুখ থাকা। জেনেশুনে ওই আদর্শ থেকে দূরে থাকা, যা রাসুল (সা.) নিয়ে এসেছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘যারা কুফরি করেছে তারা সে বিষয় থেকে বিমুখ, যে বিষয়ে তাদের সতর্ক করা হয়েছে।’ (সুরা আহকাফ : ৩)

পাঁচ. নেফাকের মাধ্যমে কুফর। বিশ্বাসগত নেফাক, যার পরিচয় হলো, ইমানকে প্রকাশ করা এবং গোপনে কুফর লালন করা। কোরআনের ভাষায় ‘তারা (বাহ্যিকভাবে) ইমান এনেছে, তারপর আবার কুফর অবলম্বন করেছে। তাই তাদের অন্তরে মোহর মেরে দেওয়া হয়েছে। ফলে তারা (সত্যকে) বোঝে না।’ (সুরা মুনাফিকুন : ৩)

ছোট কুফর, নিয়ামত অস্বীকার করার মাধ্যমে মানুষ এতে লিপ্ত হয়। এর কারণে যদিও মুসলিম মিল্লাত থেকে বের হয় না এবং চিরতরে জাহান্নামি হয় না, কিন্তু এর জন্য কঠিন শাস্তির ধমক এসেছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘অতঃপর তারা আল্লাহর নিয়ামতের অকৃতজ্ঞতা শুরু করল। ফলে আল্লাহ তাদের কৃতকর্মের কারণে তাদের ক্ষুধা ও ভীতির পোশাক পরালেন।’ (সুরা নাহল : ১১২) এখানে অনুগ্রহ অস্বীকার করাকে কুফর বলা হয়েছে, যা ছোট কুফর।

(আল ওয়াজিবাতুল মুতাহাত্তিমাতু)

ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION